হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, বাহরাইনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটো সামরিক ঘাঁটি এবং ব্রিটেনের একটি সামরিক ঘাঁটি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর থাকতে বাহরাইনে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতের দাবি অনুযায়ী বাহরাইনের উপর দিয়ে ইরানী ড্রোনসমূহ উড়ে গিয়ে সৌদি আরবে আক্রমণ চালিয়েছে ।
তাহলে তখন কি বাহরাইনে মার্কিন ও ব্রিটিশ ঘাঁটি গুলো এবং মার্কিন ৫ম নৌবহর নাকে নস্যি দিয়ে ঘুমিয়েছিল ?! তারা একটুও টের পেল না ?! তাদের রাডারে ইরানী ড্রোনগুলো ধরা পড়ল না ? তাদের এন্টি মিসাইল ও এন্টি এয়ারক্র্যাফ্ট সিস্টেম ঐ উড়ন্ত ড্রোন গুলোর বিরুদ্ধে এ্যাক্টিভ হলো না কেন ? তাহলে এ সব অত্যন্ত দামী ও উন্নত মার্কিন ও ব্রিটিশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের ফায়দা ও কার্যকারিতা কী ?
তাদের নাকের ডগা দিয়ে উড়ে গিয়ে ইরানী ড্রোন যদি সৌদি ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারে তাহলে ইরানী ড্রোনগুলো বাহরাইনে ঐ সব মার্কিন ও ব্রিটিশ ঘাটিতেও হামলা চালাতে পারবে । আর সৌদি আরবও অত্যন্ত দামী , উন্নত , আধুনিক ও শক্তিশালী মার্কিন এয়ার ডিফেন্স ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সুসজ্জিত । আর সৌদিতে ঐ ড্রোন হামলা আসলে ইরান নয় ইয়ামানই করেছিল সৌদি আরামকো তেল স্থাপনার উপর যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রুড পেট্রোলিয়াম উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান এবং এ হামলায় সৌদি আরবের দৈনিক তেল উৎপাদন ১০ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে অর্ধেক অর্থাৎ ৫ মিলিয়ন ব্যারেলে নেমে এসেছিল !! তাই এটা ছিল এক বিরাট বড় সফল সামরিক বৈমানিক হামলা । আসলে এ হামলা ইয়ামান বা ইরান যেই করে থাকুক না কেন তা মার্কিন ও ব্রিটিশ এয়ার ডিফেন্স ( আকাশ প্রতিরক্ষা ) ও রাডার সিস্টেমের জন্য বিরাট বড় বিপর্যয় ও ব্যর্থতা বলতেই হবে ; অথচ নিজেদের এয়ার ডিফেন্স ও রাডার সিস্টেম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের গর্ব , অহংকার ও আস্ফালনের অন্ত নেই । ইয়ামানের অ্যাটাকিং ড্রোন টেকনোলজি আসলে ইরান প্রদত্ত । অতএব ইয়ামানীরা ইরানী ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করে সৌদিতে যে হামলা চালিয়েছে তাতে ইরানী ড্রোন টেকনোলজি যে আধুনিক , উন্নত , শ্রেষ্ঠ ও শক্তিশালী তা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়ে গেছে যা বাহরাইনে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতও পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছে !
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান